গৃহকর্তা সম্প্রতি হারিয়েছেন তাঁর জীবনসঙ্গিনীকে। সেই শোকের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি বৃদ্ধ মানুষটি। প্রয়াত স্ত্রীর শ্রাদ্ধশান্তি করতে গিয়েছিলেন বাড়ির বাইরে। ফাঁকা ছিল বাড়ি। সেই সুযোগে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল বীরভূমের সিউড়ির হাটবাজার কলোনিতে। ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি সুকুমার মালাকার কর্মসূত্রে সিউড়ির বাসিন্দা। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরেও তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। সেখানেই থাকতেন তাঁর স্ত্রী। সোদপুরের বাড়িতেই সম্প্রতি মারা যান সুকুমারবাবুর স্ত্রী। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে সোদপুর পৌঁছন সুকুমারবাবু। সেখানেই স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করেন বৃদ্ধ সুকুমার মালাকার।
গত বৃহস্পতিবার সকালে সুকুমারবাবুর প্রতিবেশি অর্চনা চক্রবর্তী ফুল তুলতে গিয়ে দেখেন সুকুমারবাবুর বাড়ির জানালা হাট করে খোলা। প্রতিবেশি হওয়ায় অর্চনাদেবী জানতেন সুকুমারবাবু কোথায় রয়েছেন বা তাঁর এই মুহুর্তের পারিবারিক অবস্থা। জানালা খোলা দেখে তাই সন্দেহ হয় তাঁর। দ্রুত তিনি অন্যান্যদের খবর দেন। পাড়ার সকলে হাজির হন সুকুমারবাবুর বাড়িতে। সেখানে পৌঁছে তো চক্ষু চড়কগাছ এলাকার বাসিন্দাদের।
তাঁরা দেখেন, বাড়ির পিছনের দরজার তালা ভাঙা। সম্ভবত সেখান দিয়েই বাড়িতে ঢুকেছে দুষ্কৃতিরা। ঘরের সমস্ত জিনিস লণ্ডভণ্ড করা রয়েছে। পুরো বাড়িটাই প্রায় ফাঁকা করে দিয়ে গেছে ডাকাতরা। টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে রান্নাঘরের গ্যাস অবধি নিয়ে গেছে তারা। সুকুমার মালাকারকে প্রতিবেশিরাই ফোনে ঘটনার খবর জানান। খবর দেওয়া হয় সিউড়ি থানার পুলিশকেও। পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিস নিয়ে চম্পট দিয়েছে ডাকাতরা। জনবহুল শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে এরকমভাবে বাড়ির ভারী ভারী জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতিরা আর কেউ কিছু টেরও পেলেন না? ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এলাকাবাসীর মনে।