গত মঙ্গলবার গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বীরভূমের নলহাটিতেও এমনই একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এলাকার মাধ্যমিকে কৃতীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সম্বর্ধনার শেষে ছিল গানের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে হিন্দি ও বাংলা গান শুরু হয়। স্টেজেই গাইছিলেন গায়িকা। এইসময় হিন্দি গানের তালে স্টেজে উঠে নাচতে দেখা যায় বীরভূমের হাসন বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ-কে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিভিন্ন মহলে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে চটুল হিন্দি গানের আসর। তার সঙ্গে কংগ্রেস দলের বিধায়কের সেই গানের সঙ্গে নাচ কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে ঘটনায় আমল দিতে একেবারেই রাজি নন বিধায়ক মিল্টন রশিদ। তাঁর দাবি, স্বয়ং গান্ধীজি বলেছিলেন মানুষকে আনন্দ দিতে। সুতরাং গান যদি মানুষকে আনন্দ দেওয়ার একটি মাধ্যম হয়, তাহলে নাচও অপর একটি মনোরঞ্জনের মাধ্যম। আর তাঁর কাছে পাচন নেই, নাচন আছে, এমনই জানান বিধায়ক। তাঁর আরও দাবি, এলাকার সাধারণ মানুষ চেয়েছিলেন তিনি তাঁর বিধায়ক সত্ত্বাকে সরিয়ে রেখে নাচুন। তাই তিনি নেচেছেন। এরসাথে তাঁর বিধায়ক হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।