বড় মেয়ে সীমা নলি কাটা অবস্থায় পড়ে আছে সামনের ঘরে। আর ছোট মেয়ে পূজা একইভাবে নলি কাটা অবস্থায় পড়ে আছে অন্য ঘরে। ঘর ভাসছে রক্তে। এমন এক ভয়ংকর দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন তাঁদের মা। মায়ের দাবি, তাঁর ২ মেয়ে বাড়িতে তাদের বাবার কাছে ছিল। তিনি গিয়েছিলেন বাজারে। বাজার করে আসতে যেটুকু সময় গেছে। তারমধ্যেই শূন্য হয়ে গেছে তাঁর কোল। মায়ের দাবি এই খুন আর কেউ নয়, তাঁর স্বামী করেছে। তিনি বাজার যাওয়ার সময় স্বামী বাড়িতে থাকলেও, ফিরে এসে তার টিকি দেখতে পাননি।
২ মেয়েকে তাদের বাবার কাছে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। বাবার সেই নিশ্চিন্ত আশ্রয় যে সন্তানদের জন্য কাল ডেকে আনবে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সন্তানহারা মা। রবিবার রাতে ঘটা হলদিয়ার বড়বাড়ি গ্রামের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ওই বাড়ির সামনে ভিড় জমান প্রতিবেশিরা।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অভিযুক্ত বিপ্লব দাস আর্থিক অনটনের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। সেই অবসাদ থেকেই এই ভয়ংকর কাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এদিকে পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বিপ্লব।