State

আজও বিক্ষোভ, টানাপোড়েনের পর অবশেষে খুলল দাড়িভিট হাইস্কুলের দরজা

১ মাস ২০ দিন কেটে গেছে। এরমধ্যে স্কুলের দরজা খুলতে দেননি নিহত ২ ছাত্রের পরিবার, পরিজন ও বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। মাঝে পুজোর ছুটি ছিল। তারমধ্যেই নিহত এক ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন স্কুলের শিক্ষকরা। সেখানে স্থিরও হয় অন্য পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের স্বার্থে স্কুলের দরজা খুলতে দেবেন নিহতদের পরিবার। ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে যে ২ ছাত্র গুলিতে প্রাণ হারান তাঁদের পরিবার স্কুলে তালা ঝুলিয়ে ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় অবস্থান নেন। স্কুলের সামনেই চলছিল বিক্ষোভ অবস্থান। ফলে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। সেই স্কুল ফের খোলার আশ্বাস পেয়ে সেদিন শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটেছিল। ঠিক ছিল পুজোর ছুটির পর যেদিন সব স্কুল খুলছে সেদিনই খুলবে দাড়িভিটের হাইস্কুলের দরজা।

সেইমত শনিবার সকালে স্কুলে হাজির হয় বেশ কিছু পড়ুয়া। কিন্তু সেখানে এদিনও নিহত ছাত্রদের পরিবার ও বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা দরজা আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পড়ুয়াদের গেটের সামনে দেখে কার্যত তাদের বকাঝকা করে ফিরিয়ে দেন তাঁরা। প্রশাসনিক স্তর থেকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু তাঁর নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন। স্কুলের দরজা তাঁরা খুলতে দেবেন না বলেই সাফ জানিয়ে দেন। অবশেষে অনেক বোঝানোর পর তাঁরা কেবলমাত্র জেলাশাসকের হাতে স্কুলের দরজার চাবি দিতে রাজি হন।


এরপর সেখানে উপস্থিত হন মহকুমা শাসক। নিহতদের পরিবার ও বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবি ছিল ২ ছাত্রের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত করতে হবে এবং যে ৮ গ্রামবাসীকে এই ঘটনায় যুক্ত বলে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মহকুমা শাসকের কাছে কিছুটা আশ্বাস পেয়ে তবেই তাঁরা চাবি দেন। বেলা প্রায় ১২টা নাগাদ অবশেষে এসডিও নিজে তালা খুলে স্কুলের মূল দরজা খুলে দেন। ফের শুরু হয় দাড়িভিট হাইস্কুলে পঠনপাঠন।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button