মাত্র দেড় বছর হল বিয়ে হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের খুরুল গ্রামের মনোজ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পুতুল দাসের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিত মনোজ। এমনই অভিযোগ করেছেন খোদ তাঁর স্ত্রী। যদিও তা পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এর মধ্যেই সন্তানসম্ভবা হন পুতুল। জন্ম দেন এক কন্যা সন্তানের। কিন্তু তারপরই সাংসারিক অশান্তি জটিল আকার নেয়। স্বামীর নাকি প্রবল আপত্তি ছিল কন্যা সন্তান নিয়ে। কেন পুত্র হলনা? এই প্রশ্ন তুলে তাঁর ওপর অত্যাচার বাড়িয়ে দেয় মনোজ। এমনই অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী।
এমনকি দুধের শিশুর ওপরও সুযোগ পেলে অত্যাচার করত মনোজ। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ওই শিশুকে হত্যাই করে মনোজ বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী। পুলিশ শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও কন্যা হওয়ার ‘অপরাধে’ বাবার হাতে নির্মমভাবে শেষ হয়ে যেতে হল এক সদ্য জন্ম নেওয়া প্রাণকে।