সকালের দিকে টুকটাক কিছু অশান্তি বাদ দিলে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে ভারত বন্ধের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে পশ্চিমবঙ্গে তেমন কোনও প্রভাব পড়লনা। জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, দোকানপাট সবই ছিল সাধারণ দিনের মতই খোলা। বন্ধের প্রথম দিনেও যে তেমন একটা প্রভাব পড়েছিল তেমন নয়। তবে দ্বিতীয় দিনে সেটুকুও চোখে পড়েনি। সবই ছিল স্বাভাবিক।
মঙ্গলবারের মত বুধবার সকালেও যাদবপুরে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি মিছিল বার হয়। মিছিল শুরু হওয়ার পরই তাদের পথ আটকায় পুলিশ। জানিয়ে দেয় বড় রাস্তায় মিছিল করা যাবে না। শুরু হয় বাম নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশে ধস্তাধস্তি। পরে সুজন চক্রবর্তী সহ বাম কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন মৌলালিতে বাম নেতা অনাদি সাহু-র নেতৃত্বে একটি মিছিল বন্ধের সমর্থনে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। বাগবাজার থেকে বন্ধের সমর্থনে বাম কর্মী সমর্থকদের একটি মিছিল শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় পরিক্রমা করে এলাকায় ঘোরে।
বুধবার কোচবিহারে বন্ধ সমর্থকেরা সকালেই একটি টোটো ভাঙচুর করেন। কোচবিহার থেকে দিনহাটাগামী একটি বাসেও পাথর ছোঁড়া হয়। হাওড়ার দাশনগরে একটি বাসে পাথর ছুঁড়ে উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে ফেলা হয়। বেশ কিছু জায়গায় রেল অবরোধ হয়। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দ্রুত ধর্মঘটীদের লাইন থেকে সরিয়ে ট্রেন সচল রাখা হয়। তবে এদিনও রাজ্য জুড়ে অনেক ব্যাঙ্কের শাখায় তালা ঢুলেছে। ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলি ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাহত হয়।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)