শীতের রাত। তাও তখন ঘড়ির কাঁটায় প্রায় রাত ১টা। সেই সময় কলিং বেলের আওয়াজ। ফ্ল্যাট বাড়ির নিচের দরজা খোলে রামমূর্তি দিয়ার নামে এক বাসিন্দার ছেলে। দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি। তাদের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। তারা রামমূর্তি ওরফে রামুয়ার ঘরে ঢুকতেই রামুয়া তাদের দিকে একটি পিস্তল উঁচিয়ে ধরে। কিন্তু সময় না দিয়ে তার হাত থেকে পিস্তল কেড়ে নিয়ে উল্টে তার দিকেই পিস্তল তাক করে দুষ্কৃতিরা। তারপর তার স্ত্রী ও সন্তানের সামনেই তাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রামমূর্তি। এরপর সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। পরে রামুয়াকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
জানা গেছে, খুন হওয়া রামুয়া নিজেও একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতি হিসাবেই পরিচিত। পুলিশের খাতায় তার বিরুদ্ধে অনেক অপরাধে জড়িত থাকার জন্য নাম রয়েছে। খুন থেকে তোলাবাজি কিছুই বাকি ছিলনা। হাওড়ার একটা বড় অংশের আতঙ্কের নাম ছিল রামুয়া। তার একটা নিজের গ্যাংও ছিল। একটি খুনের ঘটনায় সে জেলে ছিল। গত নভেম্বরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সোদপুরের অমরাবতীতে একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেছিল সে। আত্মরক্ষার জন্য নিজের কাছেও পিস্তল রাখত রামুয়া। আতঙ্ক হয়তো তার মধ্যেও কাজ করত। আতঙ্ক যে অমলুক ছিলনা তা পরিস্কার হল রবিবার রাতে। দুষ্কৃতিদের হাতে খুন হল রামুয়া। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।