গত শনিবারই নদিয়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হন। সেই খুনের আঁচ রাজ্য রাজনীতিতে সরাসরি এসে লেগেছে। সোমবারও সত্যজিতের খুনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপিকে নিশানা করেছেন। তারমধ্যেই সোমবার ফের মিলল আর এক তৃণমূল নেতার দেহ। একটি ঝোপের মধ্যে থেকে রিতেশ রায় নামে বছর ৪৫-এর ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর চোখ ও চিবুকে ক্ষতের দাগ রয়েছে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুরের মরিশদা গ্রামের কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন রিতেশবাবু। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সোমবার তাঁর দেহ হুগলির দাদপুর গ্রামের কাছে একটি ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন। হাইওয়ের ধারে পড়েছিল দেহটি। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
কীভাবে তিনি হুগলি পৌঁছলেন? কারা তাঁকে খুন করল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে রিতেশবাবুর খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এটাকে রাজনৈতিক হত্যার তকমা দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, রিতেশ রায় দাপুটে নেতা ছিলেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলেন। পুলিশের উচিত এই খুনের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা। তাঁদের পুলিশের ওপর পুরো আস্থা আছে।