গত মঙ্গলবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন মতুয়া মহাসংঘের বড়মা বীণাপাণি দেবী। বুধবার তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঠাকুরনগরে। সেখানে ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে ভক্তদের জন্য শায়িত ছিল তাঁর দেহ। অগণিত ভক্ত তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর দেহ নিয়ে একটি কাচের গাড়িতে শেষবারের মত ঠাকুরনগর পরিক্রমা করা হয়।
সকালে অবশ্য বড়মার অন্ত্যেষ্টি নিয়ে কিছুটা অশান্তি হয়। তাঁর ২ ছেলের পরিবারের মধ্যে অশান্তি হয়। মতুয়া রীতি মানা হচ্ছে না বলে দাবি করেন বড়মার ছোট নাতি। কয়েকজন বিক্ষোভও দেখান। তবে কিছু পরে চোখের জলে বড়মাকে নিয়ে ঠাকুরনগর পরিক্রমা হয়। সরকারের তরফে ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। এছাড়া ছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা বড়মা পুত্রবধূ মমতাবালা ঠাকুর।
দেহ ঠাকুরনগরের বিভিন্ন অংশ ঘুরে আবার হাজির হয় ঠাকুর বাড়িতে। সেখানে আম কাঠ দিয়ে যজ্ঞের বন্দোবস্ত হয়েছিল। বড়মার স্বামীর পাশেই তাঁর অন্ত্যেষ্টির আয়োজন হয়। মতুয়া রীতি মেনেই শুরু হয় অন্ত্যেষ্টির তোড়জোড়। দুপুরে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বড়মাকে গান স্যালুট দিয়ে সরকারের তরফে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
গান স্যালুটের পর শুরু হয় অন্ত্যেষ্টির বন্দোবস্ত। হাজার হাজার মানুষ তখন কাঁদছেন। তাঁদের বড়মাকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল তাঁরা। বেজে চলেছে ঢাকঢোল। মন্ত্রপাঠ হচ্ছে। এরমধ্যেই মতুয়া রীতি মেনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আর সেই সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল মতুয়া মহাসংঘের একটি অধ্যায়ের।