স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামীকে। তাকে লিলুয়ার কুঞ্জপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম সমীর কর্মকার। বয়স ৩৯ বছর। তার স্ত্রী রূপালি কর্মকারকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার চেষ্টা হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে মৃত্যুর আগে তাঁর মৃত্যুকালীন জবানবন্দি পুলিশ গ্রহণ করে।
মৃতার মৃত্যুকালীন জবানবন্দির ভিত্তিতেই তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা পুলিশ। অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে এই কাজে রূপালির শ্বশুরবাড়ির অন্যদেরও হাত ছিল। ঘটনার পর থেকেই তারা বেপাত্তা। এদিকে স্বামী ছাড়াও রূপালিদেবীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে খুঁজছে পুলিশ।
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বধূহত্যা নামক ব্যাধি কিন্তু আজও সমাজে রয়ে গেছে। প্রায় দিন বধূহত্যার খবর আসছে। পুলিশের হাতে ধরাও পড়ছে অভিযুক্তরা। তবু বধূহত্যায় লাগাম পরানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই ব্যাধিকে সমাজ থেকে নির্মূল করতে বোধহয় আরও কঠিন পদক্ষেপ দরকার। প্রশাসনকেই সেই পদক্ষেপ করতে হবে। আইন আরও কঠোর করারও বোধহয় আশু প্রয়োজন রয়েছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)