তখনও ভোর হয়নি। গোটা গ্রাম তখন ঘুমিয়ে। হয়ত কয়েকজনের ঘুম সবে ভেঙেছে। ভোররাতে এমনই এক নিঝুম পরিবেশে আচমকা একটি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘুম চোখেই সকলে দেখেন সুরত আলির বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে। স্থানীয়রাই সকলে মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন তাঁরা।
বাড়িতে ঢুকে প্রতিবেশিরা দেখেন সুরত আলি, তাঁর স্ত্রী ও তাঁর ২ মেয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁদেরই প্রতিবেশি এক পরিবারের ৪ সদস্যের এমন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না আশপাশের মানুষজন। শোকে বিহ্বল তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাত ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার চুঁচুড়ার চন্দনপুর গ্রামে। এখানেই পরিবার নিয়ে থাকতেন পেশায় ফল ব্যবসায়ী সুরত আলি। বাড়িতে দুর্ঘটনাবশত আগুন লাগে, নাকি আগুন কোনওভাবে লাগানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে পোড়া বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজও শুরু হয়েছে।