গদি তৈরির কারখানা। বড় জায়গা নিয়েই তৈরি কারখানাটি। আশপাশে খেত জমি। লাগোয়া বাড়িঘর তেমন নেই। এমনই এক কারখানায় বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লেগে যায়। তখন কারখানা বন্ধ ছিল। ভোরে স্থানীয় মানুষজন আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন। খবর যায় দমকলে।
এদিকে আগুন হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। গোটা কারখানা গ্রাস করে জ্বলতে থাকে। গদি তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন স্পঞ্জ, তুলো, কাপড়, ছোবড়া সহ নানা জিনিস কারখানায় মজুত করা ছিল। এ সবই দাহ্য পদার্থ। ফলে আগুন খুব দ্রুত ভয়ংকর চেহারা নেয়। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী গোটা বাড়ি জুড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে। আশপাশের আকাশ কালো করে দেয় সেই কালো ধোঁয়া। কারখানার জানালা দিয়ে কালো ধোঁয়ার সঙ্গে বার হতে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার আমতায়। গ্রামাঞ্চল হওয়ায় আশপাশ থেকে জল পেতে অসুবিধা হয়নি। স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে দমকলের ২টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর কারখানার ভিতরে প্রবেশ করেন দমকলকর্মীরা। তখনই সেখানে পোড়া স্তূপের মধ্যে থেকে এক যুবকের দেহ পাওয়া যায়। দগ্ধ মৃতদেহটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মৃত যুবক ওই কারখানাতেই কাজ করতেন। রাতে কারখানাতেই শুতেন। আগুন লাগার পর বার হতে না পেরে ভিতরেই পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
আগুন লাগার কারণ এখনও অজানা। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লাগে। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বহু মানুষ ভিড় জমান। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।