অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক ভাটপাড়া আসনে পরাজিত হলেন তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। সেই ভাটপাড়া আসন যেখানে ১৯ মে উপনির্বাচনের দিন কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কাঁকিনাড়া। যার রেশ চলে টানা ২ দিন। বোমা, গুলি, অগ্নি সংযোগ, বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু, ব়্যাফের কর্মীর আহত হওয়া, কী না হয়েছে। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্ফু জারি করতে হয়। সেখান থেকে অবশেষে শেষ হাসি হাসলেন অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিং। মদন মিত্রের মত হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারালেন তিনি। অবশ্য এই জয়ে তাঁর চেয়ে তাঁর বাবার কৃতিত্ব অনেক বেশি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। প্রসঙ্গত হালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির টিকিটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে লড়াই করার পর অর্জুন সিং সেই কেন্দ্রে তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ৮টি আসনে উপনির্বাচন সংগঠিত হয়। এই ৮টির মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর ছিল ভাটপাড়ার দিকেই। সেখানে জয় এসেছে বিজেপির ঝুলিতে। ইসলামপুর জিতেছে তৃণমূল। কান্দি আসনটি কংগ্রেস ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ৮টি আসনের মধ্যে ৪টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস ১টি আসন জিতে নিয়েছে। এখানেও শূন্য আসন পেয়েছে বামেরা। তৃণমূল কংগ্রেস ৩টি আসন জিতেছে।
২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অসামান্য জয়ের পরই শুরু হয় বামেদের পতন। বামেরা সেবার পায় ১৫টি আসন। আর সকলকে অবাক করে তৃণমূল জেতে ১৯টি আসন। সেই জয়ের ধারা কিন্তু ঠিক ২ বছর পর ২০১১ সালে তুফান হয়ে আছড়ে পড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত বামেদের উৎখাত করে রাজ্যের সিংহাসনে বসেন। তার ঠিক ১০ বছর পার করে এবার লোকসভায় একইভাবে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল বিজেপি।