কলকাতা শহরের গায়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। সেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে তখন খাঁ খাঁ করছে। হবে নাই বা কেন! ঘড়িতে তখন রাত ২টো। কিন্তু সেই নিঝুম রাতে কিছু লরি বা গাড়ির আওয়াজ বাদ দিলে যখন চারধারে মানুষ ঘুমে মগ্ন তখন একটি গাড়ি ছুটে যাচ্ছিল তীব্র গতিতে। তাকে ধাওয়া করে আসছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো, ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। ধাওয়া বেশ কিছুক্ষণ চলার পর কেন্দ্রীয় বিহার হাউজিং কমপ্লেক্সের কাছে গাড়িটিকে ধরে ফেলেন ৩ সংস্থার যৌথ অপারেশনে যুক্ত আধিকারিকরা। রাতের অন্ধকারে তখন সে এক ধুন্ধুমার কাণ্ড।
এই সময় বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১টি সিংহশাবক, ২টি প্রাপ্তবয়স্ক লেমুর ও ১টি শিশু লেমুর। সাদা মাথার লেমুর ছিল ৩টি। যে সিংহ শাবকটি উদ্ধার হয় তা ছিল প্যান্থেরা লিও প্রজাতির। বেআইনিভাবে এই জন্তুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে আগেই খবর ছিল। সেই খবরের ভিত্তিতেই গাড়িটিকে মাঝরাতেই পিছুধাওয়া করতে শুরু করেন ৩ সংস্থার আধিকারিকরা। যৌথ এই অপারেশন বৃথা যায়নি। অবশেষে ধরা পড়ে পাচারকারীরা।
রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকেই গাড়িতে থাকা ওয়াসিম রহমান, ওয়াজিদ আলি ও গুলাম গৌস নামে ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। কোথা থেকে এই জন্তুগুলি আনা হয়েছিল? কাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? এর পিছনে কোন চক্র কাজ করছে? সবই জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। এই ৩ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই পাচারের নেপথ্যে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।