ভোট মিটে গেছে অনেকদিন হল। কিন্তু এখনও রাজনৈতিক হত্যায় ইতি পড়ল না। ভোটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ তো ছিলই। ভোট পরবর্তী হিংসাও পিছু ছাড়ছে না। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ৩ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে ১ জন তৃণমূল কর্মী। অন্য ২ জন বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, তৃণমূলের কিছু পতাকা খুলে দেন বিজেপি কর্মীরা। পরে সেখানে ফের তৃণমূল কর্মীরা পতাকা লাগিয়ে দেন। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি তাদেরই পতাকা খুলে দেয় তৃণমূল।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, হাতগাছিতে তাঁদের বুথ পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছিল। সে সময় তাঁদের ওপর আক্রমণ হয়। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। বছর ২৬-এর তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লাকে বৈঠক থেকে বার করে এনে প্রকাশ্যে কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কায়ুম মোল্লার। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। এদিকে এই ঘটনাকে সামনে রেখে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সায়ন্তন বসু দাবি করেন কায়ুম মোল্লার হত্যায় তাঁদের কোনও হাত নেই। বরং তাঁদেরই দলের ৩ কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। এদিকে ঘটনার জেরে সন্দেশখালি এলাকায় যথেষ্ট উত্তাপ রয়েছে। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রাজ্যের কোণায় কোণায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এখন কার্যত নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা সাধারণ রাজ্যবাসীর জন্য কখনই গ্রহণযোগ্য হচ্ছেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা