বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া পুলিশ স্টেশনের উদ্বোধনের আগেই সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। গুলি, বোমার লড়াই চলে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ অবস্থা সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে। গুলিও চালায়। তবে পুলিশের দাবি অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা শূন্যে গুলি চালিয়েছে। তৃণমূল নেতা মদন মিত্রও দাবি করেন, পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়েছে। এদিকে এই গুলি-বোমার লড়াইয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫ জন গুলিবিদ্ধ।
ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক হিসাবে পরিচিত ভাটপাড়ায় এক যুবকের মাথায় গুলি লেগেছে। অর্জুন সিং এখন দিল্লিতে। তিনি দাবি করেছেন, ওই যুবকের মাথার পিছনে গুলি করেছে পুলিশই। তাঁর মতে, পুলিশ তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতিকে এলাকায় প্রবেশ করতে দিয়েছে। তাদের যথেষ্ট দুষ্কর্মের সুযোগ করে দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশই বৃহস্পতিবার এক যুবককে গুলি করেছে বলে দাবি করার পর অর্জুন সিংয়ের দাবিকে খণ্ডন করেছেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তিনি বলেন, যখন পুলিশ বলছে যে তারা শূন্যে গুলি চালিয়েছে, তখন অর্জুন সিংয়ের এই দাবি অত্যন্ত দুঃখের।
বৃহস্পতিবার সারাদিনই কাঁকিনাড়া ভাটপাড়া এলাকা ছিল সুনসান। স্থানীয় সাধারণ মানুষ ঘর ছেড়ে বার হননি। সকলেই আতঙ্কিত। স্কুল, কলেজ, অফিস, দোকানপাট কোথাও যেতে পারেননি কেউ। রাস্তায় সারাদিনই পুলিশ ও ব়্যাফ টহল দিয়েছে। বেশ কিছু বোমাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে এদিন ব্যারাকপুর পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। অশান্তির জেরে ভাটপাড়া পুলিশ স্টেশনের উদ্বোধন এদিন সম্ভব হয়নি।