ভাটপাড়া গত বৃহস্পতিবার দুষ্কৃতিদের বোমা বর্ষণে সকাল থেকেই ছিল উত্তপ্ত। অবস্থা সামাল দিতে পুলিশকেও গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। সংঘর্ষে ২ যুবকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। এরপরই বিজেপি দাবি করে পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। বিজেপির তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়। বিজেপির প্রতিনিধি দলও আসতে চলেছে ভাটপাড়ায়। তারমধ্যেই শুক্রবার ২ যুবকের দেহ এসে পৌঁছয় ভাটপাড়ায়। আর দেহ সেখানে পৌঁছতেই পুলিশ ও ব়্যাফের দিকে তেড়ে যান বিজেপি সমর্থকেরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু হয়। বাধ্য হয়ে তখন পিছু হঠে পুলিশ।
অবস্থা সামাল দিতে আসেন সাংসদ অর্জুন সিং ও তাঁর ছেলে ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং। তাঁদের হস্তক্ষেপে অবস্থা শান্ত হয়। বিজেপি সমর্থকেরা শান্ত হন। অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে ২টি দেহ নিয়ে মিছিল এগোয় শ্মশানের দিকে। এরপর ভাটপাড়ার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ বাড়ানো হয়। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ভাটপাড়ায় এদিন বিজেপি সমর্থকদের দাবি, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই ২ যুবকের।
ভাটপাড়া কাণ্ডের প্রতিবাদ করে শুক্রবার রাস্তায় নামে বিজেপির যুব মোর্চা। কলকাতায় মিছিল হয়। তবে সেই মিছিল বেশি দূর এগোতে দেয়নি পুলিশ। এদিকে গত বৃহস্পতিবারই ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এলাকায় সাধারণ মানুষ প্রবল আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বাড়ি থেকে বার হওয়ার মত পরিস্থিতি নেই তাঁদের। অনেকে পরিবার নিয়ে বাড়ি বন্ধ করে রেখে আত্মীয় পরিজনের বাড়ি রওনা দিচ্ছেন। পরিস্থিতি শান্ত হওয়া পর্যন্ত এলাকার বাইরেই থাকতে চাইছেন তাঁরা।