গত শুক্রবার ভাটপাড়ায় ২ মৃতদেহ নিয়ে মিছিলে পুলিশকে তাড়া করাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায়। পুলিশ পালাতে বাধ্য হয়। পরে অবশ্য এলাকায় প্রচুর পুলিশ ও ব়্যাফ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু তারপরও উত্তেজনা কিন্তু থামছেনা। শনিবার সকালে ভাটপাড়ায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হাজির হয় কংগ্রেস ও সিপিএম-এর প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। ছিল যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ। কিন্তু ভাটপাড়ায় বাম-কংগ্রেস প্রতিনিধিদল এবং পুলিশ, উভয়েই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে।
পুলিশ ও বাম-কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের গাড়ি ঘিরে স্থানীয় বিজেপি সমর্থকেরা গো-ব্যাক ধ্বনি দিতে থাকেন। অবশেষে এলাকা ছাড়েন বাম-কংগ্রেস নেতারা। এদিকে এদিন সকাল থেকেই ভাটপাড়া জুড়ে পুলিশি টহল অব্যাহত। দোকানপাট খোলেনি। গাড়ি তেমন চলছে না। স্থানীয় মানুষজন এভাবে দিনের পর দিন ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া অশান্ত হয়ে থাকাটা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা দ্রুত এর বিহিত চাইছেন।
প্রশাসনের তরফে ব্যারাকপুরের কমিশনার বদলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। প্রশাসন উচ্চপর্যায়ের মিটিং চালাচ্ছে যাতে দ্রুত অবস্থা আয়ত্তে এনে ভাটপাড়ায় শান্তি ফেরানো যায়। এদিকে এদিন বেলায় কলকাতায় হাজির হয় ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দলে রয়েছেন সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া, সাংসদ সত্যপাল সিং এবং সাংসদ বিষ্ণুদয়াল রামজি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহের নির্দেশেই তাঁরা এসেছেন বলে জানান এসএস আলুওয়ালিয়া।