সকালে অশান্ত ভাটপাড়ায় পৌঁছেছিল সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। দুপুরে সেখানে হাজির হল বিজেপির ৩ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তাদের অবশ্যই কোনও প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়নি। তাদের সঙ্গে সারাক্ষণ ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা ভাটপাড়া যাঁর হাতের মুঠোয় বলে প্রচলিত সেই অর্জুন সিং। আর ছিলেন বিজেপির সমর্থকেরা। যাঁরা বিজেপির প্রতিনিধিদল ভাটপাড়ায় আসার পর জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশেই তাঁদের এখানে আসা বলে আগেই জানিয়েছিলেন দলের নেতৃত্বে থাকা বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া।
শুনিবার দুপুরে প্রথমেই গুলিতে মৃত রামবাবু সাউয়ের বাড়িতে যান এসএস আলুওয়ালিয়া, সত্যপাল সিং ও বিষ্ণুদয়াল রাম। ৩ সাংসদ কথা বলেন মৃত রামবাবুর পরিবারের সঙ্গে। পরে তাঁরা পায়ে হেঁটে আর এক মৃত ধরমবীর সাউয়ের বাড়িতেও যান। পরে এসএস আলুওয়ালিয়া জানান, মৃত ২ ব্যক্তিই পেশায় ফুচকা বিক্রেতা। তাঁদের ২ পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিং। আলুওয়ালিয়ার দাবি, পুলিশ বলছে তারা শূন্যে গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু এরা তো হওয়ায় উড়ছিলেন না। তবে তাঁদের গায়ে গুলি লাগল কীভাবে? এক্ষেত্রে সরাসরি পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর দাবিই প্রকাশ পেয়েছে বিজেপির এই বর্ষীয়ান সাংসদের মুখে।
আলুওয়ালিয়া বলেন, রামবাবু সাউয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি জানতে পেরেছেন রামবাবু ওদিন কচুরি কিনতে বাইরে বার হয়েছিলেন। তিনি কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবু তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। এদিকে আলুওয়ালিয়া আরও জানিয়েছেন পুরো ঘটনার রিপোর্ট তিনি সরকারের কাছে জমা দেবেন। মোট ৭ জন গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও দাবি করেন অলুওয়ালিয়া। তিনি আরও বলেন, মৃতদের সন্তানদের পড়াশোনার ব্যবস্থা ও স্ত্রীদের চাকরির বন্দোবস্ত তাঁরা করবেন।
তাহলে কী ফিরে গিয়ে তাঁরা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে কিছু বলবেন? এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এড়িয়ে গেছেন ৩ সদস্যই। যাঁদের মধ্যে ২ জন প্রাক্তন আইপিএস। তাঁদের একটাই বক্তব্য তাঁরা এসেছেন খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে। তাঁরা সেটা করবেন। পরের পদক্ষেপ প্রশাসন ঠিক করবে। এদিকে এদিনও সকালে পুলিশকে ঘিরে গো ব্যাক ধ্বনি ওঠে ভাটপাড়ায়। তবে পুরো ভাটপাড়া জুড়েই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।