ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়ায় শান্তি ফেরাতে মঙ্গলবার বিকেলে ঘোষপাড়া রোড ধরে কাঁকিনাড়া স্টেশন থেকে শান্তি মিছিল বার করে বাম ও কংগ্রেস। তাদের যৌথ মিছিলে কোনও দলীয় পতাকা ছিল না। মিছিল শুরু হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমরা। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র সহ অন্য নেতানেত্রীরা। মিছিল শুরু হওয়ার পর একটু এগোতেই কিন্তু মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে মিছিল আটকালে শুরু হয় উত্তেজনা। বাম-কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ক্রমশ চড়তে থাকে উত্তেজনা। এই অবস্থায় প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে বাম-কংগ্রেসের মিছিল এগিয়েও যায়। এদিকে বাম ও কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের নতুন কমিশনার মনোজ বর্মা। তিনি নিজে সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু দফায় দফায় কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন।
বাম ও কংগ্রেস নেতাদের দাবি ছিল তাঁরা এলাকায় শান্তি ফেরাতে এসেছেন। শান্তিপূর্ণ মিছিল করছেন। এই মিছিলকে আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। পরে মনোজ বর্মার সঙ্গে কথা বলেন বিমান বসু সহ অন্য নেতারা। এদিকে যেখানে তাঁদের ফের আটকানো হয় সেখানে রাস্তার ওপরই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বাম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা।
বাম ও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলার পর বাম ও কংগ্রেস নেতারা থানায় হাজির হয়ে মনোজ বর্মার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। মনোজ বর্মা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন কেন তাঁদের আটকানো হল। অন্যদিকে বাম ও কংগ্রেস নেতারা বোঝানোর চেষ্টা চালান তাঁরা শান্তির পক্ষে মিছিল করতে এখানে হাজির হয়েছেন। তবে এই মিছিলকে কেন্দ্র করে ফের এদিন অশান্ত হল গোটা এলাকা। সোমবার থেকে ক্রমে ছন্দে ফিরছিল গোটা এলাকা। সোমবারই দোকানপাট, স্কুল-কলেজ খোলে। রাস্তায় বাস চলাচল শুরু হয়েছিল।