এক মহিলা পুলিশকে ঘিরে ধরেছেন একদল যুবক। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে বিজেপির পতাকা। সকলে মিলে ওই মহিলা পুলিশকে ঘিরে ধরে যথেচ্ছ ধাক্কাধাক্কি করছেন। সেই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে প্রবল প্রতিবাদ। একজন মহিলাকে এভাবে ঘিরে ধরে তাঁর দেহে যেমন খুশি কী হাত দেওয়া যায়, তাঁকে ধাক্কা মারা যায়। টাল সামলাতে যখন তিনি পারছেন না তখনও সকলে তাঁকে খুব কাছ থেকে ধাক্কাধাক্কি করছেন। ছবি থেকে অনেকেই মনে করছেন এভাবে আসলে প্রতিবাদ, রাজনীতির নামে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে এক মহিলার শরীরে হাত ছোঁয়ানোর চেষ্টা। অভব্য আচরণ করার জন্য সুযোগের সদ্ব্যবহার।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ এদিন খেজুরিতে ঢুকছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। খেজুরিতে ঢোকার আগেই তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। প্রথমে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি। তারপর সেখানেই রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন ভারতী ঘোষ। মহিলা নেত্রী হওয়ায় ভারতীয় ঘোষের নিরাপত্তার জন্য মহিলা পুলিশ নিয়োগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে এক মহিলা কর্মীর ওপর এদিন চড়াও হন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তারপরই তাঁকে ঘিরে ধরে চলে যেমন কুশি ধাক্কাধাক্কি। একজন মহিলা চারপাশে জনা ৩০ যুবক দিয়ে ঘেরা অবস্থায় ধাক্কা খেয়ে প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। এদিক ওদিক দিয়ে ওই পুরুষদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন। আর ততই তাঁর ওপর নেমে আসছিল ক্রমাগত ধাক্কা। অভব্যতা ঠেকাতে শেষ এক যুবককেই এগিয়ে আসতে দেখা যায়। তিনি হাত ছড়িয়ে ওই মহিলাকে ধারে সরাতে সমর্থ হন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিলা পুলিশদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ জমা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের ডিউটি করছিলেন। সেখানে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের কেন এমনভাবে একদল যুবকের অভব্যতার শিকার হতে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাঁরা। শুধু তাঁরা বলেই নয়, ক্ষুব্ধ গোটা পুলিশ প্রশাসন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই নিগ্রহের ছবি প্রকাশ পেতে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাজনীতির নাম করে একজন মহিলার সম্মানহানি মেনে নিতে পারছেন না কেউই।