বেলায় তখন ট্রেনে ভিড় থাকে। সে সময় বারাসত স্টেশনের জিআরপি-র কাছে ফোন আসে যে ডাউন হাসনাবাদ লোকালের ভেন্ডারে প্লাস্টিক চাপা কিছু একটা রয়েছে। বারাসত স্টেশনে ট্রেনটি এলে জিআরপি ওই প্লাস্টিক সরিয়ে দেখে একটি মুণ্ড রয়েছে সেখানে। আঁতকে ওঠার মত দৃশ্য। মুণ্ডটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় জিআরপি। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে তাহলে ধড় কোথায়? শুরু হয় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ। এরই মধ্যে দুপুরে কাঁকিনাড়া রেল গেটের কাছে একটি মুণ্ডহীন দেহ পায় পুলিশ।
কাঁকিনাড়া রেল গেটের কাছে যে দেহটি পড়েছিল তার মুণ্ড ধড় থেকে আলাদা করে নেওয়া হয়েছিল। তবে মুণ্ডটি ধারেকাছে কোথাও পাওয়া যায়নি। তাহলে মুণ্ড কোথায় গেল? এদিকে বারাসত স্টেশনে ট্রেনের ভেন্ডার থেকে যে একটি মুণ্ড মিলেছে সে খবর পুলিশের কাছে পৌঁছয়। তবে কী কাঁকিনাড়ায় পাওয়া ধড় আর বারাসতে ট্রেনের মধ্যে পাওয়া মুণ্ড একই মানুষের? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত হয় যে ধড় আর মুণ্ড একই ব্যক্তির।
পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পারে যে ব্যক্তির মুণ্ডহীন দেহ কাঁকিনাড়া রেল গেটের ধারের ঝোপঝাড় থেকে মিলেছে তিনি স্থানীয়। নাম লালা প্রসাদ। বয়স ৪০ বছর। পেশায় ফুচকা বিক্রেতা। কিন্তু মুণ্ড তাঁরই কিনা তা জানতে তা শনাক্ত করতে পরিবারকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমেও ধড় মুণ্ড একই ব্যক্তির কিনা যাচাই করবে পুলিশ।