বীরভূম এখন যেন বিস্ফোরণ ভূমি হয়ে উঠেছে। মল্লারপুরে বিস্ফোরণ হয়ে একটি ক্লাব উড়ে যাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের প্রবল বিস্ফোরণ। এবার বিস্ফোরণ হল লাভপুরে। তবে বিস্ফোরণের কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কারণ যেখানে বিস্ফোরণ হয় সেটি একটি পরিত্যক্ত সরকারি আবাসন। ফলে বাড়ি ধূলিসাৎ হলেও সেখানে মানুষের ক্ষতি এড়ানো গেছে। অবশ্য ক্ষতি এড়ানো গেলেও স্থানীয়দের মধ্যে ভয় কাটানো যাচ্ছেনা। এই ঘটনার পর আরও আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
বুধবার মাঝরাতে যখন লাভপুরের মিরবাঁধ গ্রামে মানুষজন ঘুমিয়ে তখনই তাঁদের ঘুম ছুটে যায় বিকট কান ফাটা শব্দে। প্রবল বিস্ফোরণের শব্দে বহু দূর পর্যন্ত মানুষ হুড়মুড়িয়ে জেগে ওঠেন। বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে। বিস্ফোরণটি হয় স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরের মধ্যেই থাকা একটি পরিত্যক্ত আবাসনে। বাড়িটি যেভাবে ধ্বংস হয়েছে তা দেখেই বিস্ফোরণের তীব্রতা অনুমান করা যায়। যেখানে বিস্ফোরণ হয় সেখান থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ওই ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। যে পুলিশ ফাঁড়ি কয়েক বছর হল তৈরি হয়েছে। সেখানে পুলিশও মোতায়েন থাকে। তারপরেও সেই ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এমন বিস্ফোরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
কারা এই বিস্ফোরণ ঘটাল? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই বাড়িটি পরিত্যক্ত হওয়ায় এখানে মানুষের যাতায়াত ছিলনা। তাই ওই জায়গায় প্রচুর বোমা মজুত করে রাখা ছিল। আর তাতেই বিস্ফোরণটি হয়। এখন বোমা থেকেই যদি বিস্ফোরণ তবে এত বোমা রাখল কে? এই প্রশ্নে তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে আতঙ্কে কাটাচ্ছেন পরিবার নিয়ে বসবাস করা স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আতঙ্ক এমনভাবে যেখানে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটছে। তবে তাঁদের সুরক্ষা কোথায়? তাঁদের তো রাস্তায় বার হতে হয়।