গাড়িতে যাচ্ছিলেন সোফিউল হাসান। নিজের কাজে যাচ্ছিলেন। মাঝরাস্তায় আচমকা তাঁর গাড়ি ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতিরা। ফলে গাড়ি থামতে বাধ্য হয়। দুষ্কৃতিরা সোফিউলকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বাধ্য করে। সোফিউল গাড়ি থেকে নামলে গাড়িতে বোমা মারে দুষ্কৃতিরা। সোফিউলকে লক্ষ্য করেও বোমা ছোঁড়া হয়। তারপর সোফিউলকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা সোফিউল হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ার পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তৃণমূল নেতাকে এভাবে ঘিরে ধরে গুলি, বোমা ছুঁড়ে হত্যার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার তৃণমূল নেতা খুনে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। সোফিউলের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত তার খোঁজ চলছে। খোঁজ চলছে এই ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতিদেরও। সোফিউলের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল, নাকি এটা রাজনৈতিক কারণে হত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।