টানা ৪ দিন ধরে কার্যত বৃষ্টি যেন থামতেই চাইছিলনা। একেবারে যাকে বলে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। একে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গ নাজেহাল হচ্ছিল। তারমধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সেখানে প্রবল বৃষ্টি হল। ফলে ক্রমশ বাড়ছিল বিভিন্ন এলাকার জলস্তর। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছিল। জল বাড়ছিল বিভিন্ন নদীতে।
জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও দার্জিলিং। একটানা বৃষ্টিতে জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হতে বসেছিল। উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন নদীগুলি ফুঁসছিল। তবে সোমবার বৃষ্টি অনেকটাই কমেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসও তেমনটাই ছিল। সেইমত সোমবার থেকে বৃষ্টি কমায় জলও নামতে শুরু করেছে। মানুষজন অনেকেই যাঁরা ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গিয়েছিলেন তাঁরা বাড়ি ফিরছেন।
জল কমতে শুরু করলেও সব এলাকা থেকে জল সম্পূর্ণ সরেনি। ফলে ফের বৃষ্টি হলে কিন্তু আবার দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। এদিকে অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায় চলে গেছে। অন্যদিকে বিহারেরও বন্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বহু এলাকা জলমগ্ন। বিহারের এই জলছবি নিয়ে সরকারকে একপ্রস্ত সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। বিহার বিধানসভায় বিরোধীরা এদিন রাজ্যবাসীর বন্যা পরিস্থিতির জেরে সমস্যার কথা তুলে ধরে সরকারকে তুলোধোনা করেন। তবে বিহারেও বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা