
ভাঙড়ে ক্রমশ আলগা হচ্ছে আরাবুল ইসলামের পায়ের তলার মাটি। তাঁর জায়গা ক্রমশ নিজের দখলে নিচ্ছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। শুক্রবার ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে আরাবুলকে সরিয়ে একসময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা রেজ্জাক মোল্লাকে ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আরাবুল ও রেজ্জাক দুজনেই তৃণমূলে থাকলেও এঁদের সম্পর্কের তিক্ততাকে বদলাতে পারেননি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন আরাবুল ইসলাম। ২০১২ সালে ভাঙড় কলেজের এক শিক্ষিকাকে জগ ছুঁড়ে মারার পর তাঁর নাম জেনে যায় গোটা রাজ্য। সেসময়ে তিনিই ছিলেন ভাঙড়ের ‘শেষ কথা’। পরে যদিও কাইজার আহমেদের সঙ্গে তাঁর তিক্ততা ভাঙড়ে নয়া সমীকরণের জন্ম দেয়। এর মাঝেই দল বিরোধী কাজের জন্য আরাবুলকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। পরে যদিও তাঁকে ফেরত নেয় দল। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে রেজ্জাক মোল্লা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে ভাঙড় থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। রেজ্জাক মোল্লার অভিযোগ ভোটে আরাবুল সামনে তাঁর হয়ে প্রচার করলেও পিছনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার করছিলেন। আগাগোড়াই তাঁর সঙ্গে রেজ্জাক মোল্লার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় তৃণমূলের অন্দরমহলে একথা অনেকে বিশ্বাস করে নেন। পরে ভাঙড় থেকে জিতলেও আরাবুলের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি রেজ্জাকের। এদিন ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ আরাবুলের হাত থেকে রেজ্জাকের হাতে আসায় ফের একবার বাজিমাত করলেন তিনি। অন্যদিকে পায়ের তলার মাটি আরও আলগা হল আরাবুল ইসলামের।