প্রত্যেক সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিলের আয়োজন থাকে। কখনও ডিম-ভাত, কখনও ডাল-ভাত-সবজি তরকারি, কখন সয়াবিনের তরকারি-ভাত, কখনও বা সবজি খিচুড়ি। এমনই মেনু এসব মিড ডে মিলের। যা অনেক প্রান্তিক আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর পরিবারের সন্তানদের মুখে হাসি ফোটায়। পেট ভরায়। সেই মিড ডে মিলে নাকি ডাল, তরকারি বা ডিম নয় দেওয়া হচ্ছে স্রেফ নুন-ভাত।
এমন অভিযোগ সামনে আসার পরই সোমবার চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে হাজির হন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে এ বিষয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। পরে ক্ষোভ উগরে লকেট বলেন, এই স্কুলের পরিচালন সমিতি তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত। সেখান থেকেই মিড ডে মিলের খাবার চুরি হচ্ছে। টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে। আর ছাত্রীদের মুখে তুলে দেওয়া হচ্ছে নুন-ভাত।
লকেটের দাবি এই কেলেঙ্কারি বহুদিন ধরেই চলছে। স্কুল থেকে ৫ হাজার ডিম কেনার জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রীদের কখনও ডিম পাতে পড়েনি। ২৫৭ বস্তা চালও কোথায় হাওয়া হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, এর পিছনে কোন তৃণমূল নেতা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হোক। স্কুলের ছাত্রীরাও জানায় যে তারা মিড ডে মিলে সাধারণভাবে নুন-ভাতের সঙ্গেই অভ্যস্ত। ডাল বা ডিম তারা পায়না বলেও জানিয়েছে ছাত্রীরা।
এই ঘটনার খবর ছড়াতে তা কানে পৌঁছয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। তিনি সাফ জানান, এই ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। যারা ছোট ছোট পড়ুয়াদের মুখ থেকে খাবার চুরি করেছে তাদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তবে এই ঘটনার পিছনে স্কুলের পরিচালন সমিতির হাত আছে একথা মনতে চাননি তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মিড ডে মিলের সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তবু সবকিছু তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা