মিড ডে মিলে স্রেফ নুন ও ফ্যান ভাত। একেবারে বোর্ডে লিখে দিনের মেনু জানান দিয়ে ছাত্রীদের মিড ডে মিল খাওয়ানো হচ্ছিল। সে খবর পেয়ে সেখানে চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে হাজির হন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অবস্থা দেখে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তিনি। নতুন নয়, ৬০০ ছাত্রীর স্কুলে মিড ডে মিলে প্রায়শই স্রেফ নুন-ভাত জোটে ছাত্রীদের কপালে বলেও জানতে পারেন তিনি। তারপরই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন লকেট।
খবর যায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। তিনি সাফ জানান, যারা ছোট ছোট পড়ুয়াদের মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়েছে তাদের রেয়াত করা হবেনা। পরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ডও করা হয়। তারপর মঙ্গলবার সকালে কার্যত ভোল বদলে গেল স্কুলের মিড ডে মিলের।
নুন-ভাত কাণ্ডের পর মঙ্গলবার সকালে ভাত, ডাল ও ডিম সিদ্ধ পাতে তায় ছাত্রীরা। দেরিতে ডিম আসায় ডিমের কারি করা সম্ভব হয়নি। সিদ্ধই দেওয়া হয়। এদিকে নুন ভাত খেতে খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়া ছাত্রীরা এদিন পাতে ডিম পেয়ে বেজায় খুশি। হাসি মুখে তৃপ্তি করে মিড ডে মিল শেষ করে তারা। এদিন স্কুলে ডিম পৌঁছ দেন স্থানীয় কাউন্সিলর। দরকারে ধারে কিনেও মিড মিলে ছাত্রীদের ভাত-তরকারি বা ডিম দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
গত সোমবার লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন এই স্কুলে নুন ভাত দেওয়ার কেলেঙ্কারি বহুদিন ধরেই চলছে। স্কুল থেকে ৫ হাজার ডিম কেনার জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রীদের কখনও ডিম পাতে পড়েনি। ২৫৭ বস্তা চালও কোথায় হাওয়া হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, এর পিছনে কোন তৃণমূল নেতা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হোক। যদিও এই ঘটনার দায় প্রধান শিক্ষিকার ঘাড়েই চাপিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এই কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল যোগ দেখছেন না তিনি।