উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে রবিবার সকাল থেকেই পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার সাংসদ অর্জুন সিং দলবদল করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ও তারপরই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পর ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া তো বটেই এমনকি তার চারপাশের অনেক এলাকাতেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে। সে সময় তৃণমূল কার্যালয়গুলিও রাতারাতি বিজেপির পার্টি অফিসে বদলে গিয়েছিল। রবিবার তেমনই ৩টি পার্টি অফিস ফের নিজেদের দখলে নেয় তৃণমূল। আর তাতেই সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর। সেসময় অর্জুন সিং সেখানে হাজির হলে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হয়।
পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে চড়তে থাকা পারদ আরও চড়ে বেলায়। শ্যামনগর-জগদ্দল এলাকায় সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। শ্যামনগরে প্রবল সংঘর্ষ চলাকালীন অর্জুন সিংয়ের মাথায় আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থা হয়। পরনের জামা কাপড়ে রক্ত ঝরে পড়ে। মাথা ফাটা অবস্থায় অর্জুন সিংকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মাথায় সেলাই পড়ে। তারপর তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অর্জুন সিং অবশ্য তাঁর মাথা ফাটার জন্য সরাসরি কাঠগড়ায় চাপিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ বর্মাকে। পুলিশ কর্তার জন্যই তাঁর মাথা ফেটেছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ। অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর ছেলে তথা ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংও আহত হয়েছেন। এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছিল দিনভর। তৃণমূলের অবশ্য দাবি তারা কেবল তাদের পার্টি অফিসগুলি ফেরত নিয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।