দোকানের ক্যাশবাক্সে নেহাত কম টাকা ছিলনা। কিন্তু দোকানদার গুনে দেখেছেন সে টাকায় হাত পর্যন্ত ছোঁয়ায়নি চোরেরা। নির্লোভ চোর বলতে হবে! টাকা হাতের সামনে পেয়েও তাতে হাত না দিয়ে চম্পট দেওয়া চোর বড় একটা খুঁজে পাওয়া ভার! কিন্তু তাই তো হয়েছে! রাতের অন্ধকারে দোকান ভেঙে ঢোকে চোরেরা। তারপর দোকানের যাবতীয় পেঁয়াজ নিয়ে পালায়। সঙ্গে নিয়ে যায় কিছু আদা, রসুনও। কিন্তু বাকি আনাজে হাত দেয়নি, ক্যাশবাক্সের টাকাতেও হাত চালায়নি তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটায়। এখানেই বড় আনাজপাতির দোকান রয়েছে অক্ষয় দাসের। সেই দোকান গত সোমবার রাতে বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে এসে দেখেন দোকানের তালা ভাঙা। ভিতরে আনাজপাতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। তিনি বুঝতে পারেন কী হয়েছে রাতে। দ্রুত ক্যাশবাক্স খুলে দেখেন। দেখেন ক্যাশবাক্সে যে টাকা তিনি রেখে দিয়েছিলেন সব টাকা অক্ষত। অবাক কাণ্ড! তাহলে চোরেরা নিলটা কী! অবশেষে উদ্ধার হয় যে সব আনাজ ফেলে গেলেও দোকানের যাবতীয় পেঁয়াজ ভ্যানিস। সঙ্গে গেছে কিছু পরিমাণ আদা, রসুনও।
পেঁয়াজের দাম সম্প্রতি কিলো প্রতি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। ফলে পেঁয়াজে হাত দিতে পারছেন না কেউ। এই অবস্থায় এমন টাকা পয়সা ফেলে কেবল দোকান ভেঙে রাতের অন্ধকারে পেঁয়াজ চুরি কিন্তু এক নির্মম সত্যকে আরও বড় করে সামনে এনে দিল। চোরেরা অনায়াসেই ক্যাশবাক্সের টাকা চুরি করতে পারত। কিন্তু তাতে হাত পর্যন্ত দেয়নি। অক্ষয় দাসের দাবি, বর্তমানে যা দাম তাতে তাঁর প্রায় ৫০ হাজার টাকার পেঁয়াজ মজুত ছিল। সব পেঁয়াজ খোয়া গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।