আন্তর্জাতিক বাজারে নিষিদ্ধ মাদকের রমরমা নতুন কিছু নয়। অনেক সময় পুলিশ ধরে ফেলে, বাজেয়াপ্ত করে মাদক। গ্রেফতারও হয়। কিন্তু তাতে মাদক পাচারে লাগাম পড়েনা। সেইসঙ্গে মাদকের ব্যবহার ও তার চেহারার বদল ঘটছে। খোদ কলকাতার বুকেই লজেন্স ও ট্যাবলেটের আকারে মাদক ধার পড়েছে অতীতে। এবার আন্তর্জাতিক বাজারে যথেষ্ট প্রচলিত নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা-র খোঁজ মিলল মালদহে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদহের ইংরেজবাজারের একটি হোটেলে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইয়াবা ট্যাবলেট এমন একটি নিষিদ্ধ মাদক যা সাধারণত ট্যাবলেট আকারেই পাওয়া যায়। লাল রঙের হয় এই ট্যাবলেট। মাদকাসক্তরা এই ট্যাবলেট টিনের ফয়েলে করে নিয়ে থাকে। সাধারণত ধোঁয়ার আকারেই এই মাদক নিয়ে থাকে তারা। ইয়াবা অনেক জায়গায় ম্যাড ড্রাগ নামেও পরিচিত।
আন্তর্জাতিক বাজারে এই ইয়াবা মাদকের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। লুকিয়ে এই নিষিদ্ধ মাদক বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এমন ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটের খোঁজ মিলল হোটেলের ঘরে। যার আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। ইংলিশ বাজারের ওই হোটেলের ঘর থেকে মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ৩ জনের হদিশ পায় তারা। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। যে ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে তাদের মধ্যে ১ জন বাংলাদেশের বাসিন্দা। ১ জন মণিপুরের বাসিন্দা। ২ জন কলকাতার ও ২ জন মালদহের বাসিন্দা।
পুলিশ জানাচ্ছে, এটা একটা বিশাল আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র। যার জাল বাংলাদেশ থেকে মায়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত। মণিপুরের বাসিন্দা যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার কাজ ছিল এই ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট কলকাতায় নিয়ে আসা। এখান থেকে তা যায় মালদহে। সেখান থেকে তা সীমান্ত পার করে তা লুকিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। তার আগেই মালদহে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করল এই নিষিদ্ধ মাদক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা