শুক্রবারই পেয়েছিলেন সুখবরটা। ফের তিনিই থাকছেন শিলিগুড়িতে বিজেপির নেতৃত্বে। সেই সুখবর নিয়েই ফিরছিলেন শিলিগুড়ি। গাড়িতেই ফিরছিলেন। মধ্যরাতে গাড়ি ছুটছিল শিলিগুড়ির দিকে। সঙ্গে ছিলেন দলের অন্য কয়েকজন। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর রাতে গাড়িটির সঙ্গে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ রায়চৌধুরীর।
অভিজিৎ রায়চৌধুরী শিলিগুড়িতে বিজেপির সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিলেন বলেই মনে করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। এমন এক নেতার এমন আকস্মিক মৃত্যুতে উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল বলেই মনে করছে রাজ্য বিজেপির ওপর মহল। অন্যদিকে অভিজিৎবাবুর সঙ্গে থাকা অন্যরাও চোট পান। রাতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। রক্তাক্ত অভিজিৎবাবুকে দ্রুত হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শীতের সময় রাতের দিকে জাতীয় সড়কের ওপর কুয়াশার প্রভাব থাকে। তার জেরই দুর্ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার জেরে বিজেপির অন্দরমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিলিগুড়িতেও অভিজিৎবাবুর মৃত্যুতে শোকাহত বিজেপি কর্মীরা। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ।