পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার জঙ্গলে ধরা পড়ল অতি বিরল এক কেউটে। যার ২টি মাথা। ২ মুখো কেউটের দেখা মেলা ভার। তেমনই একটি কেউটে হাতে পান একরুখী গ্রামের বাসিন্দারা। কেউটেটিকে দেখতে পাওয়ার পর পাকড়াও করেন তাঁরা। তারপর খবর দেন বন দফতরকে। বন দফতরের আধিকারিকরা এই খবর পাওয়ার পর দ্রুত সেখানে হাজির হন। কিন্তু সেখানে হাজির হয়ে গ্রামবাসীদের কাছে শোনেন তাঁরা আসার আগেই গ্রামবাসীরা সাপটিকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন।
বন দফতরের কর্মীরা এই ঘটনায় অবাক। এমন একটি বিরল সাপ হাতে পেয়েও তাকে পরীক্ষা করার সুযোগ হাতছাড়া হওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের বিশ্বাস ২ মুখো সাপের সঙ্গে পৌরাণিক অনেক বিশ্বাস জড়িয়ে আছে। যার ফলে তাঁরা হাজির হওয়ার আগেই গ্রামবাসীরা সাপটিকে বনে ছেড়ে দেন। ২ মুখো সাপকে ধরে রাখায় গ্রামবাসীদের আপত্তি রয়েছে।
যদিও বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ২ মুখো সাপের সঙ্গে পুরাণের কোনও সম্পর্ক নেই। যেমন করে মানুষের ক্ষেত্রেও ২টি মাথা নিয়ে শিশু জন্মায়। যেমন হাতির ক্ষেত্রেও ২টি মাথা নিয়ে হাতি জন্ম নেয়। তেমনই সাপের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। এমন সাপ দেখতে পেলে তাকে যদি পর্যবেক্ষণে রাখা যায়, তাকে যদি সুরক্ষিত পরিবেশে রাখা যায় তবে ২ মুখো সাপও বহুদিন বাঁচতে পারে। কিন্তু পরিবেশের মধ্যে থাকলে তা বেশিদিন বাঁচবে না। সেদিক থেকে সাপটিকে ফের জঙ্গলে ছাড়াটা ভুলই। ২টো মাথার সাপ একে দিক নির্ণয় করতে সমস্যায় পড়ে। তাছাড়া একটা মাথা অপর মাথাকে খাদ্য ভেবে খাওয়ার চেষ্টা করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা