নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদের আঁচ এ রাজ্যেও পড়েছিল। তবে তা বড়সড় আকার নেয় গত শুক্রবার। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে লাইনে আগুন ধরিয়ে, স্টেশন তছনছ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। বহরমপুরেও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। উলুবেড়িয়া স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেনে হামলা হয়। তছনছ করা হয় স্টেশন চত্বর। এই পরিস্থিতি যে শুক্রবারেই শেষ হয়নি তা পরিস্কার হয়ে গেল শনিবার। শনিবার সকাল থেকেই ফের বিভিন্ন ট্রেন লাইনে অবরোধ শুরু হয়। শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন চলাচল প্রভাবিত হয়। কাঁকড়া মির্জানগর স্টেশনে অবরোধ হয়।
বেলডাঙায় শুক্রবারের তাণ্ডবের কারণে এদিন সকালে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ট্রেন চলে। ট্রেন চলাচলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মুর্শিদাবাদে। সেখানে অনেক স্টেশনেই শনিবার সকালে অবরোধ হয়। থমকে যায় ট্রেনের চাকা। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। সকালেই এমন অবরোধের ফলে অনেকেই এদিন ট্রেন লাইনে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি। পূর্বপরিকল্পিত কোনও যাত্রা স্থগিত রাখেন। এড়ান সমস্যার সম্ভাবনা। যাঁদের যেতেই হবে তাঁরা বারবার খোঁজ খবর নেন তাঁর রুটে কোথাও ট্রেন বা সড়ক অবরোধ রয়েছে কিনা।
শনিবার সকালে ট্রেন অবরোধের পাশাপাশি সড়ক অবরোধও হয়। কয়েক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য গত শুক্রবারই সকলকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজ্যপালও শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন। শনিবার সকালে অবশ্য শুক্রবারের মত আন্দোলন তাণ্ডবের চেহারা নেয়নি। কিন্তু সড়ক বা ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবেই। সেটাই হয়েছে এদিনও।