গত শুক্রবার থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় আগুন জ্বলেছে। যেসব জায়গায় অশান্তি চরমে উঠেছে সেসব জায়গায় অবশেষে রবিবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিল রাজ্য সরকার। অসমেও একই রাস্তায় হেঁটে আন্দোলনে লাগাম দেওয়ার চেষ্টা করছে অসম সরকার। সেই রাস্তায় এবার হাঁটতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেও। মালদা, মুর্শিদাবাদ ও হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্টারনেট বন্ধ উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও বারাসত মহকুমাতেও।
অসম সহ গোটা উত্তরপূর্ব ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ চলছিল আগে থেকেই। অসমে অবস্থা সামাল দিতে ইন্টারনেট পরিষেবা আগেই বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার বেলডাঙা স্টেশনে রেল লাইনে আগুন জ্বালানো ও স্টেশন চত্বর ভাঙচুর হয়। উলুবেড়িয়াতেও স্টেশনে পাথরবৃষ্টি হয়। ট্রেন ভাঙচুর হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। শনিবার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর বেশ কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ট্রেনেও অগ্নিসংযোগ হয়। সব মিলিয়ে গত শুক্রবার থেকেই রাজ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
রবিবারও সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ, ডোমকলে ট্রেন অবরোধ হয়। এছাড়াও বেশ কিছু জায়গায় ট্রেন ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। টানা ৩ দিন ধরে একই পরিস্থিতি চলার পর এদিন রাজ্য সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ করে দেয়। অশান্তির আগুনে লাগাম দিতেই এই পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রীও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কোনও অশান্তি তিনি বরদাস্ত করবেননা। আন্দোলন করতে হলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই তা করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।