
ব্যবসায়ীর সুইসাইড নোটে নাম পাওয়া ও মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্ত কুমার রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধৃত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ মৃত ব্যবসায়ী ও তাঁর অংশীদারের মধ্যে টাকা পয়সার বিবাদ মেটাতে ক্লাবে সালিশি সভা ডাকেন কাউন্সিলর অনন্ত রায়। সেই সভায় টাকা মেটানোর জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয় বলে সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন মৃত ব্যবসায়ী। সোনারপুরের সূর্য সেন পার্কের বাসিন্দা মধ্যবয়স্ক বিশ্বজিত রায় পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে তাঁর অংশীদার হাওড়ার বাসিন্দা প্রশান্ত পাঁজার কিছু টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। যা বিশ্বজিতবাবুর পরিবারও জানত। অভিযোগ গত রবিবার বিষয়টির মীমাংসার জন্য স্থানীয় ক্লাবে সালিশি সভা ডাকেন ৩২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্ত রায়। সভায় তিন মাসের মধ্যে বকেয়া টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বিশ্বজিতবাবুর ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। এরপর গত মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্যান্য দিনের মতই চা খান বিশ্বজিতবাবু। তারপর কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢুকে পড়েন বাড়ির রান্নাঘরে। পরে সেখানে ঢুকে দেখা যায় সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় বিশ্বজিত রায়ের দেহ ঝুলছে। বিশ্বজিতবাবুর পরিবারের অভিযোগ ও বিশ্বজিতবাবু লেখা একটি সুইসাইড নোটে কাউন্সিলর অনন্ত রায়ের নাম পাওয়া যায়। অভিযোগ ওঠে সালিশি সভা ডেকে চাপ দেওয়ারও। এদিকে সুইসাইড নোট কার লেখা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন অনন্তবাবু। বিশ্বজিতবাবুর পরিবারের তরফে অনন্ত রায় সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অনন্ত রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশ্বজিত রায়ের অংশীদারকেও খুঁজছে পুলিশ।