রাত তখন ২টো। একে নিশুতি রাত। তায় আবার শীতের রাত। শহরে ঠান্ডার অনুভূতি বিদায় নিলেও গ্রামের দিকে এখনও ঠান্ডা ভালই রয়েছে। আর মধ্যরাতে তো বটেই। তবু কৃষকের প্রাণ হল পাকা ফসল। ওই ফসলই তার পরিবারের জীবনধারণের উপায়। এখন অনেকেই ক্ষেতে আলু লাগিয়েছেন। তা তোলার সময়ও আগত অনেকের। এই অবস্থায় রাতেই শালবনীর কাছে বিষ্ণুপুর গ্রামে হানা দেয় একদল দাঁতাল হাতি। গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন তাঁদের জমি ভরা ফসল তছনছ করছে সেই হাতির পাল।
ওই গ্রামেরই এক কৃষক বছর ৫০-এর অমল ঘোষ চিন্তায় পড়ে যান। হাতির পাল তাঁর ক্ষেতের কতটা ক্ষতি করল তা দেখতে তিনি ওই রাত ২টোতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঠে হাজির হন। আর ঠিক সে সময় অমলবাবুর ক্ষেতের ওপর দিয়েই যাচ্ছিল একটি দাঁতাল হাতি। ঘন অন্ধকার থাকায় অমল ঘোষ বুঝে উঠতে পারেননি হাতি তাঁর কতটা কাছে রয়েছে।
অমলবাবুকে সামনে পেয়ে ওই দাঁতাল তাঁকে পা দিয়ে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কৃষকের। এরপর গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে হাতির পাল বিদায় নেয়। রবিবার সকালে দেখা যায় গ্রাম জুড়ে হাহাকার। এক কৃষকের মৃত্যুর যন্ত্রণা তো ছিলই, সেই সঙ্গে গ্রাম জুড়ে অনেক কৃষকের মাঠ ভরা ফসল তছনছ করে দিয়ে গেছে হাতির পাল। এ নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা