গত শনিবার সন্ধেয় একটি কালীমন্দিরে গিয়েছিলেন পুজো দিতে। শনিবার অনেকেই কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে থাকেন। সেখানে পুজো দিয়ে ওই যুবক ফিরছিলেন বাড়িতে। অন্ডালের কাছে যখন বাইক পৌঁছয় তখন তিনি বাইক চালাতে চালাতেই ফেসবুক লাইভ করছিলেন। আর সেই ফেসবুক লাইভই কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। ফেসবুক লাইভে মন দিতে গিয়ে বাইক চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় মনঃসংযোগে ঘাটতি হয়। আর পলকে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
আচমকাই গতিতে থাকা বাইক যায় হড়কে। ছিটকে পড়েন চঞ্চল ধীবর নামে ওই যুবক। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যু হয়। উখড়ার ধীবরপাড়া এলাকায় চঞ্চলের বাড়ি। সেখানেই ফিরছিলেন তিনি। বাইক চালাতে চালাতে ফেসবুক লাইভে মত্ত ছিলেন।
বাইক দুর্ঘটনা নতুন নয়। বারবার জনস্বার্থে প্রচার করা হয় সতর্কবার্তা। কিন্তু তাতেও কিছু মানুষের হুঁশ ফেরানো হয়তো যাচ্ছেনা। বেপরোয়া গতি, সোশ্যাল সাইটের নেশা, বাইক নিয়ে কোনও চিত্তাকর্ষক মোচড় এসব চলতে থাকে। তার পরিণামও হয় মারাত্মক। যা ঘটল চঞ্চলের ক্ষেত্রে। বাইক চালাতে চালাতে ফেসবুক লাইভ করা অন্যায় হচ্ছে তা তিনি হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি। ফলে নিজেই নিজের জীবনে ডেকে আনলেন চরম পরিণাম। যা তাঁর গোটা পরিবারকে শোকের আবহে জর্জরিত করল।