মানুষ জমি কেনেন। সেখানে বাড়ি বানান। নিজের একটা বাড়ি। সেজন্যই জমি কিনেছিলেন এক ব্যক্তি। বাড়ি তৈরির জন্য মাটি খোঁড়াও শুরু হয়েছিল। ভিত তৈরির জন্য মাটি খোঁড়ার সময় বেশ কিছুটা মাটি কাটতেই মাটির তলায় কিসে যেন ধাক্কা খায় শাবল। তারপর মাটি সরাতেই বেরিয়ে আসে একটা আস্ত ঘড়া। সেই ঘড়া ভর্তি প্রাচীন আমলের কড়ি। যা একসময় বিনিময় মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার হত।
কোচবিহারের নাকাতিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের চামতা গ্রামে এমন ঘটনায় রীতিমত হৈচৈ পড়ে যায়। বহু মানুষ খবর পেয়ে ভিড় জমান। ঘড়াকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় কৌতূহল। কেউ কেউ আবার মোহর পাওয়া গিয়েছে ভেবে ভিড় জমান। এদিকে ওই ঘড়া বা ঘড়া ভর্তি কড়ি ঠিক কোন সময়ের, কবে তা মাটির তলায় রাখা হয়েছিল তা এখনও পরিস্কার নয়। সেটা জানার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
কোচবিহারে কিন্তু মাঝেমধ্যেই মাটি খুঁড়ে বিভিন্ন পুরাতন জিনিস আবিষ্কার হচ্ছে। গত কয়েকমাসে এই নিয়ে তৃতীয় ঘটনা ঘটল যখন মাটি খুঁড়তে বেরিয়ে এল প্রাচীন জিনিস। এর আগে বহু প্রাচীন আমলে ব্যবহৃত পুজোর বাসনপত্র ও দেবদেবীর ভাঙা মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল এই জেলা থেকেই। এগুলো মিলেছিল ফুলবাড়ি এলাকা থেকে। এবার বেরিয়ে এল এক ঘড়া কড়ি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা