বাড়ি মুর্শিদাবাদে। সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়া। রোজগারের জন্য সেখানেই থাকেন ওই যুবক। সেই কাজে ছুটি নিয়েই কদিনের জন্য বাড়িতে আসা। কিন্তু ছুটিতে বাড়ি ফিরে বাড়ির মানুষজনের সঙ্গে তাঁর আর থাকা হল না। তাঁকে আপাতত রাখা হয়েছে মুর্শিদাবাদের একটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। চিকিৎসকদের কড়া নজর রয়েছে তাঁর ওপর।
দমদম বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে ট্রেনে ওই যুবক ফিরছিলেন বাড়ি। গত শনিবারই ফিরেছেন তিনি। কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে বাড়ি ফিরছিলেন ট্রেনে। সেইসময়ই তিনি অসুস্থ অনুভব করেন। বাড়ির লোকজন তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করার পর করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় আলাদা করে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেন।
ওই যুবকের গলা থেকে নেওয়া থুতুর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বহরমপুরের হাসপাতালে তৈরি হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। সেখানেই ভর্তি রাখা হয়েছে তাঁকে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে সব সরকারি হাসপাতালেই আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি রাখা হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি রাখা হচ্ছে। এখনও সব বেসরকারি হাসপাতাল আইসোলেশন ওয়ার্ড বানিয়ে উঠতে না পারলেও দ্রুত সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।