দেশজুড়ে লকডাউনের আবহে তাঁরা ফিরেছিলেন ওড়িশা থেকে। সেখানে কাজ করতেন কাঠ মিস্ত্রি হিসাবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে ফিরছেন ভিন রাজ্যের সব শ্রমিক। তার ব্যতিক্রম হয়নি এই ৩ কাঠ মিস্ত্রির ক্ষেত্রেও।
তাঁরা ওড়িশা থেকে ফিরে আসেন গ্রামে। নদিয়ার রাণাঘাটের কাছে হিজলি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁদের বাড়ি। তবে গ্রামের ধারে এসেও তাঁরা গ্রামে ঢোকেননি। গ্রামের বাইরে লোকালয় থেকে দূরে রাস্তার ধারে ঝুপড়ি বানিয়ে থাকতে শুরু করেন তাঁরা।
এটাই ছিল তাঁদের নিজেদের উদ্যোগে তৈরি কোয়ারেন্টিন সেন্টার। ওই ৩ কাঠ মিস্ত্রির দাবি, তাঁদের দেহে করোনা রয়েছে কিনা জানা নেই। কিন্তু তাঁরা চান না যদি তাঁদের দেহে থাকেও তাহলে তা যেন গ্রামের আর কারওকে প্রভাবিত করে।
কাউকে সংক্রমিত না করে। তাই তাঁরা ১৪ দিনের জন্য গ্রামের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। গ্রামের ভাল চেয়েই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত। তাঁদের এই উদ্যোগকে তারিফ করেছেন স্থানীয় মানুষজন।
এভাবে ভিন রাজ্য থেকে ফিরে ৩ জন ঝুপড়ি তৈরি করে রয়েছেন এ খবর পৌঁছয় প্রশাসনের কাছে। তারপরই প্রশাসনের তরফে সেখানে হাজির হন আধিকারিকরা। তাঁরাই ওই ৩ জনকে বাড়িতে পাঠান। সেখানে তাঁদের আলাদা থাকতে বলেন।
ততক্ষণে বেশ কিছুদিন তাঁদের ওই ঝুপড়িতে কাটানো হয়ে গেছে। এদিকে জানা গেছে তাঁদের শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ নেই। তবে তাঁদের উদ্যোগ তারিফ কুড়চ্ছে।
প্রসঙ্গত কদিন আগেই ৭ জন ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিক পুরুলিয়ায় নিজেদের গ্রামে না ঢুকে গ্রামের বাইরে একটি বট গাছের ওপর মাচা করে থাকছিলেন। নিজেদের জন্য কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করেছিলেন।