ধৃত আল কায়দা জঙ্গির বাড়ি থেকে মিলল বিপুল পরিমাণে আতসবাজি
বাড়িতে ভর্তি আতসবাজি। যা উদ্ধার করল এনআইএ। মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত আল কায়দা জঙ্গির বাড়িতে এত আতসবাজি দেখে অবাক এনআইএর তদন্তকারীরা।
নয়াদিল্লি : শনিবার কাকভোরে এনআইএ হানা দেয় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের একাধিক জায়গায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ৬ আল কায়দা জঙ্গিকে। তাদের কাছ থেকে অনেক বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।
যে ৬ জনকে এদিন গ্রেফতার করে এনআইএ তাদের মধ্যে রয়েছে আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, নাজমুস সাকিব, আতাউর রহমান এবং আল মামুন কামাল। এদের মধ্যে আবু সুফিয়ানের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে আতসবাজি উদ্ধার হয়েছে।
প্রচুর চকোলেট বোমা সহ এত আতসবাজি কেন? এ তো দীপাবলিতে সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে থাকেন! এনআইএ জানিয়েছে, এই আতসবাজিকে কাজে লাগিয়েই আইইডি বোমা বানাচ্ছিল জঙ্গিরা।
আইইডি তৈরি করতে প্রচুর পটাশিয়াম লাগে। যা এই আতসবাজির বিপুল সম্ভার থেকে সংগ্রহ করছিল জঙ্গিরা। তারপর সেই পটাশিয়ামকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হচ্ছিল শক্তিশালী আইইডি বোমা। সেজন্যই নানা জায়গা থেকে আপাত নিরীহ আতসবাজি সংগ্রহ করে জঙ্গিরা।
জঙ্গিদের ডেরা তল্লাশি করে আরও অনেককিছু উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বোমাকে ফাটাতে কাজে লাগে এমন সুইচ ও ব্যাটারি। বেশ কয়েকটি অসমাপ্ত আইইডি বোমাও উদ্ধার হয়েছে তাদের ডেরা থেকে।
এদিন কেরালা থেকেও ৩ আল কায়দা সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তবে এই ৩ জনও কেরালায় গিয়ে ছিল মাত্র। তারা সকলেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
জঙ্গিদের ডেরা তল্লাশি করে আল কায়দার বেশ কিছু প্রচারপত্র, বোমা তৈরির বই, বেশ কিছু নথি, ধারালো অস্ত্র, স্থানীয়ভাবে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, এমনকি স্থানীয়ভাবে তৈরি বর্মও ধৃতদের কাছ থেকে পেয়েছে এনআইএ।
এনআইএ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে ধৃত ৯ জঙ্গিকে পাকিস্তানে থাকা আল কায়দা সংগঠনের সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তৈরি করছিল। তাদের দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় হামলার ছক তৈরি করতে সাহায্য করছিল।
ধৃত জঙ্গিরা এখানে অর্থ সংগ্রহের কাজও করছিল। দিল্লিতে গিয়ে অস্ত্র আনার কথা ছিল এদের। তবে তার আগেই গ্রেফতার হল তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা