State

সুন্দরবনে আম্ফান বিধ্বস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করল উত্তর কলকাতা ব্যবসায়ী সমিতি

আম্ফান ঝড়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে সুন্দরবন। এখানকার মানুষজন এখনও সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি। সুন্দরবনে আম্ফান বিধ্বস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করল উত্তর কলকাতা ব্যবসায়ী সমিতি।

কলকাতা : আম্ফান তছনছ করে দিয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকাকে। বহু মানুষ এখনও সেই দানব ঝড়ের তাণ্ডবলীলার প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। এরমধ্যে করোনা আরও বড় সমস্যার সৃষ্টি করেছে। করোনা সামলে, বিধ্বস্ত মানুষগুলো প্রতিদিন জীবনে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরকারের তরফে ত্রাণ বিলি হলেও পাশাপাশি এগিয়ে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। তারা তাদের মত করে ত্রাণ বিলি করে আম্ফান বিধ্বস্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তাঁদের কিছুটা হলেও বাঁচার লড়াইয়ে সুরাহা করার চেষ্টা করছে।


উত্তর কলকাতা ব্যবসায়ী সমিতি করোনা পরিস্থিতিতে শহর কলকাতা সহ আশপাশের অনেক জায়গায় বিলি করেছে মাস্ক, স্যানিটাইজার। করোনার জেরে কাজ হারিয়ে, রোজগার হারিয়ে আতান্তরে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছে চাল, ডাল, তেল, নুন, মশলা সহ নানা প্রয়োজনীয় জিনিস। এবার এই ব্যবসায়ী সংগঠন পৌঁছে গেল সুন্দরবনে।

গত রবিবার সকালে উত্তর কলকাতা ব্যবসায়ী সমিতি-র প্রতিনিধিরা কলকাতা থেকে ত্রাণ নিয়ে পাড়ি দেন সুন্দরবনের উদ্দেশে। সুন্দরবনের কচুখালি ১ এবং ৩ নম্বর ব্লক এবং রাঙাবেলিয়ায় আম্ফান বিধ্বস্ত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান তাঁরা।


যাবতীয় করোনা বিধি মেনে তাঁরা সেখানকার স্থানীয় মানুষের হাতে তুলে দেন চাল, ডাল, তেল, নুন, মশলা, সয়াবিন, বিস্কুট, মুড়ি, চিঁড়ে, মোমবাতি, ব্লিচিং পাউডার, কাপড়, ধুতি, গামছা। বিতরণ করা হয় মাস্কও।

উত্তর কলকাতা ব্যবসায়ী সমিতি-র তরফে সকলের হাতে ত্রাণ তুলে দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ধর।

জলপথে গিয়ে এসব ত্রাণ তাঁরা তুলে দেন মানুষের হাতে। ত্রাণ পেতে স্থানীয় মানুষের ভিড়ও জমে। মানুষজন লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করেন। নৌকায় দাঁড়িয়ে মানুষের হাতে প্যাকেট ভর্তি ত্রাণ তুলে দেন অভিজিতবাবুরা।

ত্রাণ সংগ্রহে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও ভিড় জমান। এত মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিতে পেরে খুশি উত্তর কলকাতা ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির কাছ থেকে এই সাহায্য পেয়ে আপ্লুত সুন্দরবনের এসব মানুষজন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button