উত্তরবঙ্গ ভাসছে, পরপর ধস, বিচ্ছিন্ন বাংলা-সিকিম সড়ক
প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল উত্তরবঙ্গ। বিশেষত পাহাড়ি এলাকা। বৃষ্টির জেরে অনেক জায়গায় ধস নেমেছে সড়কে।
কলকাতা : উত্তরবঙ্গ যে ভাসতে চলেছে তা আগেই পূর্বাভাসে জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেই পূর্বাভাস মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর পর্যন্ত বাতিল করেন। বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপ যে গোটা রাজ্যে বৃষ্টি ঝরাবে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।
প্রথমে দক্ষিণবঙ্গেই শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি শুরু হয়। পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বৃষ্টি, ধসের সম্ভাবনা সবই পূর্বাভাসে জানিয়ে সতর্ক করেছিল হাওয়া অফিস। হয়ও ঠিক তাই।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে ৩ দিন ধরে টানা প্রবল বৃষ্টি হয়ে চলেছে। যার জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে চিন্তার ভাঁজ পুরু করে পাহাড়ি এলাকা জুড়ে ধস নামছে।
পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে ধস নামা নতুন কিছু নয়। ধসের জেরে বিভিন্ন সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন রাস্তা সাফ করে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সে কাজ ঠিক করে করে উঠতে পারা যাচ্ছে না। কারণ দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বৃষ্টি থামার নাম নিচ্ছে না।
প্রবল বৃষ্টি ও ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ২৯ মাইল এলাকার কাছে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ওই রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে।
সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাংটক, কালিম্পং হয়ে শিলিগুড়ি শহরকে যোগ করেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বলা ভাল সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে অন্যতম সড়ক যোগাযোগের নাম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেই রাস্তা এখন স্তব্ধ হয়ে রয়েছে।
ফলে সিকিম ও দার্জিলিং-কালিম্পং ২ দিকেই গাড়ির লম্বা সারি। যাওয়ার পথ নেই। সিকিম-কালিম্পং-ডুয়ার্সের মধ্যেও সড়ক যোগাযোগ স্তব্ধ হয়ে আছে বৃষ্টি ও ধসের জন্য।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কেরও হাল বেহাল। ফলে সে রাস্তাতেও যাতায়াতের সুবিধা নেই। তারমধ্যে চারিদিক ঝাপসা করা বৃষ্টি হয়েই চলেছে।
নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গেও হচ্ছে, কিন্তু তা উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকার মত এমন অবিরাম নয়। এত প্রবলও নয়। যতক্ষণ না বৃষ্টি কিছুটা ধরছে তার আগে পর্যন্ত সিকিম-পশ্চিমবঙ্গে যোগাযোগ ফের চালু হওয়া মুশকিল বলেই মনে করা হচ্ছে।