বিজেপি নেতার মৃত্যুতে স্তব্ধ ব্যারাকপুর, বন্ধ, পথ অবরোধ
বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার মৃত্যুর জেরে সোমবার সকাল থেকে ব্যারাকপুরের রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। চলছে বন্ধ।
কলকাতা : গত রবিবার টিটাগড়ে এক চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন টিটাগড়ের দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লা। যাঁকে সকলে চেনেন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ডানহাত হিসাবে। এলাকায় তাঁর প্রবল দাপট সকলের জানা।
সেই মণীশ শুক্লা যখন চায়ের দোকানে কথা বলছিলেন তখনই বাইকে করে ৪ দুষ্কৃতি এসে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালায়। মৃত্যু হয় মণীশের। তারপর রাতেই বিজেপি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অভিযোগের আঙুল ছিল তৃণমূলের দিকে।
সোমবার সকালে মণীশ শুক্লার মৃত্যুতে বিক্ষোভের আঁচ আরও শতগুণ বেড়ে যায়। পারদ চড়তে থাকে টিটাগড় ও ব্যারাকপুর জুড়ে।
ব্যারাকপুরে ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা রাস্তায় নামেন। বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধ শুরু হয়। রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা।
বন্ধের জেরে সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই সকাল থেকে অশান্ত হয়ে রয়েছে ব্যারাকপুর। রাস্তায় গাড়ি চলাচল কম। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সাধারণ মানুষও এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বার হওয়ার ঝুঁকি নেননি।
এদিকে এদিন মণীশ শুক্লার বাড়িতে যান সাংসদ অর্জুন সিং। যান রাজ্যের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় প্রমুখ।
মণীশ শুক্লার বাড়িতে বেশ কিছুটা সময় কাটান তাঁরা। কথা বলেন সকলের সঙ্গে। এদিন বিজেপি নেতাদের ঘিরে ছিলেন অনেক বিজেপি কর্মী সমর্থকও। অর্জুন থেকে কৈলাস, সকলেই আঙুল তোলেন তৃণমূলের দিকে।
এই হত্যাকাণ্ডের কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবিও তোলেন তাঁরা। বিজেপি নেতাদের আগমন, বন্ধ, বিক্ষোভ মিলে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যারাকপুর ও টিটাগড় এলাকায় ছিল উত্তেজনা।
মণীশ শুক্লার উত্থান কিন্তু নেতা হিসাবে সিপিএম-এর হাত ধরে। ব্যারাকপুরের একসময়ের প্রবল দাপুটে বাম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তরিৎবরণ তোপদারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন মণীশ। তখন তিনি যুব নেতা। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তখনই তাঁর অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা।
তারপর অর্জুনের সঙ্গেই বিজেপিতে আসেন মণীশ। বর্তমানে টিটাগড়ে প্রবল দাপুটে বিজেপি নেতা হিসাবে তাঁকে চিনতেন সকলে। এলাকার অনেক মানুষের কাছে তাঁর কুখ্যাতিও ছিল।