ভোলা মাছ বেচে রাতারাতি লাখপতি বৃদ্ধা
একটা ভোলা মাছ রাতারাতি যে কারও জীবন বদলে দিতে পারে তা একটা ঘটনা প্রমাণ করে দিল। সাগর দ্বীপের বাসিন্দা এক বৃদ্ধার ক্ষেত্রে কিন্তু তাই হয়েছে।
কলকাতা : ভোলা মাছ বা ভোলা ভেটকি। বাজারে কেউ কেনেন তো কেউ না। কারও স্বাদ ভাল লাগে তো কারও নয়। খুব যে একটা বিশাল দামে বিক্রি হয় তাও নয়। কিন্তু একটা ভোলা ভেটকি বদলে দিয়েছে এক বৃদ্ধার জীবন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর দ্বীপের বাসিন্দা এক বৃদ্ধা রাতারাতি লাখপতি হয়ে গেছেন একটা ভোলা মাছের কৃপায়।
কদিন আগের ঘটনা। সাগর দ্বীপের বাসিন্দা এক বৃদ্ধা গিয়েছিলেন নদীর ধারে। আচমকাই তাঁর নজর পড়ে জলে ভাসছে একটি ভোলা মাছ। মাছটি অতিকায়।
বৃদ্ধা জলে নেমে মাছটির কাছে এগিয়ে যান। ততক্ষণে মাছটি মরে গেছে। মরা মাছ হলে কী হবে, তা তখনও টাটকা। পচন ধরেনি। এমন মাছ ছাড়া যায়না।
বৃদ্ধা মাছটিকে টানতে শুরু করেন। অনেক কসরত করে শরীরের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সেটিকে জল থেকে টেনে এনে ফেলেন নদীর পারে।
মাছটির খবর পেয়ে তখন চকফুলডুবি গ্রামের অন্যরাও এক এক করে আসতে শুরু করেছেন। বৃদ্ধা মাছটিকে ধুয়ে ফেলেন জল দিয়ে। অতিকায় দানবের মত চেহারার মাছ।
বৃদ্ধা স্থির করেন তিনি মাছটি স্থানীয় বাজারে বেচে দেবেন। মাছের হোলসেল বাজারে মাছটিকে নিয়ে যেতে তাঁকে গ্রামের লোকজনই সাহায্য করেন। কারণ ওই মাছ বৃদ্ধার পক্ষে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিলনা। একটা মাছের ওজনই যে ৫২ কেজি!
সেই ৫২ কেজির মাছ বাজারে বিক্রিও হয়। ৩ লক্ষ টাকা দাম ওঠে মাছটির। পুষ্পা কর নামে ওই বৃদ্ধা ওই মাছ বেচে রাতারাতি হয়ে যান লাখপতি। বলা ভাল ৩ লাখপতি! যা তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে যেন সব কিছু বদলে গেছে তাঁর। গ্রামে তিনি এখন সেলেব্রিটি।
মাছটির দাম ওঠার কারণ রয়েছে। ওই মাছের চর্বি প্রতি কেজি ৮০ হাজার টাকারও বেশি দামে এশীয় বাজারে বিক্রি হয়। প্রবল চাহিদা। ফলে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে যিনি কিনেছেন তিনিও মোটা অঙ্কেই লাভবান হবেন হয়তো।
বৃদ্ধার এই মৎস্যপ্রাপ্তি ও তার হাত ধরে অর্থপ্রাপ্তির খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে।