State

বিজেপির বাগনান বন্‌ধ ঘিরে দিনভর উত্তেজনা

বিজেপির দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগে গত বুধবার থেকেই উত্তপ্ত হাওড়ার বাগনান। বৃহস্পতিবার তারা সেখানে বন্‌ধের ডাক দেয়। সকাল থেকেই বন্‌ধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ চড়ে।

কলকাতা : বিজেপির বাগনান বন্‌ধকে কেন্দ্রে করে বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে রইল হাওড়ার বাগনানে। এদিন সকালেই বন্‌ধ সফল করতে রাস্তায় নামেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা।

বন্‌ধের সমর্থনে একটি মিছিল বার করার চেষ্টা করে বিজেপি। কিন্তু সেই মিছিল এগোতে দেয়নি পুলিশ। মিছিল আটকে দেওয়া হয়। লাঠি উঁচিয়ে তাড়াও করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে।


এদিন বন্‌ধ চলাকালীন বেলার দিকে মৃত বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাজির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বাগনানের দিকে আসছেন এই খবর পাওয়ার পরই প্রস্তুত ছিল পুলিশ। বাগনানে পৌঁছলে পুলিশ সৌমিত্র খাঁকে আটকে দেয়।

পরে সৌমিত্রবাবু থানায় হাজির হন। অভিযোগ বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা থানার দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বেশ কিছুটা সময় এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলে। পরে থানার বাইরে প্রতিবাদ অবস্থানে অংশ নেন বিজেপি কর্মীরা।


এদিন বাগনান বন্‌ধে বিজেপি যেমন তৎপর ছিল বন্‌ধ সফল করাতে, তেমনই অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে একটি মিছিল বার করা হয় এদিন বন্‌ধের বিরোধিতা করে।

তৃণমূলের তরফে জানানো হয় পরদিনই লক্ষ্মীপুজো। ঘরে ঘরে এই পুজো হয়। তাই এদিন সব দোকানপাট খোলা থাকা আবশ্যিক।

তৃণমূল বাগনানে সব দোকান খুলে রাখার পরামর্শ দেয়। যাঁরা বন্ধ রেখেছিলেন দোকান তাঁদের ভরসা দিয়ে দোকান খোলানোর চেষ্টা করা হয়।

গত বুধবার কিঙ্কর মাজির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাগনানে দফায় দফায় পথ অবরোধ হয়। অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। হয় ভাঙচুরের ঘটনাও। ফলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এদিনও যথেষ্ট পুলিশ ছিল বন্‌ধে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায়। তৈরি ছিল জল কামান। তৈরি ছিল ব়্যাফ। প্রশাসন যে বন্‌ধকে কেন্দ্র করে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ তা স্পষ্ট ছিল এদিন। সব মিলিয়ে বিজেপির বন্‌ধে এদিন উত্তপ্তই রইল বাগনান।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button