শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দিতেই তৃণমূলে ইস্তফার ধুম
শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার তৃণমূল থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি দল ছাড়ার পরই এক ধাক্কায় অনেক তৃণমূল নেতা দল ছাড়লেন।
কলকাতা : তাঁকে কী হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা বলা যেতে পারে? নাকি তিনিই সাহস দিলেন? পদত্যাগ করে অন্য বিক্ষুব্ধ নেতাদের পথ প্রদর্শকের ভূমিকা নিলেন?
নাহলে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার পরই এভাবে একের পর এক নেতা দল ছাড়লেন কেন? সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়লেন। তাঁর ইস্তফাপত্র তিনি দলনেত্রীকে পাঠিয়েও দিয়েছেন। শুভেন্দু ইস্তফা দেওয়ার পর আসানসোলের ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা তথা আসানসোল পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেন। তাঁর অভিযোগ, আসানসোল বঞ্চনার শিকার হয়েছে। যথেষ্ট উন্নয়ন এই শহরে হয়নি। এই শহর স্মার্ট সিটিও হতে পারেনি।
শুভেন্দু অথবা জিতেন্দ্র ছাড়া তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলেছেন অনেক দলীয় নেতাই। অনেকে দলও ছেড়েছেন। এখনও দলে থেকেও দলের সরাসরি সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল বা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়া শিলিগুড়ির তৃণমূল যুবার প্রাক্তন সভাপতি দীপঙ্কর অরোরা তৃণমূল ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইস্তফা দেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের পঞ্চায়েত নেতা দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ব্লক প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।
দুর্গাপুর পুরসভার বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ও দল ছেড়েছেন এদিন। দুর্গাপুরের মেয়রের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। এভাবে একসঙ্গে এতজন নেতার দল ছাড়া কিন্তু তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা। এটা কিন্তু মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা তৃণমূলের জন্য এটা বড় ধাক্কা বলে মেনে নিলেও খোদ তৃণমূল নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ। বরং তাঁদের অনেকে মনে করছেন এমন কয়েকজন নেতা গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং এতে দলের পরিশুদ্ধি হচ্ছে।
অন্যদিকে বিজেপি শিবির সাবধানী পা ফেলেই এগোতে চাইছে। এখনই তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেওয়া কোনও নেতার নাম করে রাজ্য গেরুয়া শিবির তাদের দলে যোগ দেওয়ার কথা বলছে না। কেবল তারা জানিয়ে দিচ্ছে যে কেউ বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে তারা স্বাগত জানাবে।