State

তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত, দল ছাড়লেন আরও এক বিধায়ক

উল্টো সুরে প্রকাশ্যেই কথা বলছিলেন তিনি। অবশেষে দল ছাড়লেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তৃণমূলে এভাবে ভাঙনে কিন্তু চাপ বাড়ছে দলের ওপর।

কলকাতা : উল্টো সুরে প্রকাশ্যেই কথা বলছিলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর অনেক আগেই রাজনৈতিক মহলে এই বার্তা ছিল যে ব্যারাকপুরের তৃণমূল নেতা শীলভদ্র দত্ত দল ছাড়তে পারেন। অবশেষে সেটাই হল।

শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পর এবার দল ছাড়লেন শীলভদ্র। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। সেই চিঠি তিনি দলনেত্রীর কাছে পাঠিয়েও দিয়েছেন।


প্রশান্ত কিশোরকে কৌশল স্থির করার জন্য তৃণমূল আনার পর থেকেই প্রকাশ্যেই তাঁকে মেনে নিতে পারছিলেননা শীলভদ্র দত্ত। এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন আর তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়বেন না তিনি।

তখনই অনেকে ধরে নিয়েছিলেন শীলভদ্রের দল ছাড়া সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে সেই কাজটা এই তৃণমূল ছাড়ার হিড়িকের মধ্যে সেরে ফেললেন তিনি।


দল ছাড়ার পরই তাঁর দলীয় কার্যালয়ের রং-এ গেরুয়ার ছোঁয়া লেগেছে। সরেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এদিকে দল ছাড়লেও বিধায়ক পদ শীলভদ্র দত্ত এখনও ছাড়েননি।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে আসছেন। শনিবার তাঁর মেদিনীপুরে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেখানেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তবে সে সম্বন্ধে কেউ কিছু নিশ্চিত করেননি।

তৃণমূলের হেভিওয়েট ৪ নেতার পাশাপাশি কিন্তু ব্লক স্তরেও দল ছাড়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পদে থাকা তৃণমূল নেতাও দল ছেড়েছেন কয়েকদিনে। এদিনও মুকুল রায় ও অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে কয়েকজন তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দেন।

এদিকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার হিড়িক পড়লেও তাতে বিজেপির রাজ্য নেতাদের সিংহভাগই খুশি বোধহয় হতে পারছেন না। বরং জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপিতে যোগদানের আগেই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়রা।

তৃণমূল অবশ্য মনে করছে এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। কয়েকজন নেতা চলে গেছেন বলে দলের ক্ষতি হয়না। বরং তাঁরা গেছেন একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে বলেও মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

অন্যদিকে এদিন বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক চলবে। প্রতিদিনই তাঁদের দলে তৃণমূল ছেড়ে মানুষজন যোগ দেবেন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button