রাজ্যে পৌঁছল এনডিআরএফ, সরানো হচ্ছে উপকূলের বাসিন্দাদের
ঘূর্ণিঝড় যশ শনিবার থেকেই জমাট বাঁধা শুরু করে দিল। এদিকে যশ ঠেকাতে আগে ভাগেই প্রস্তুতি সারছে রাজ্যসরকার। করোনা রোগীদের কথাও মাথায় রাখতে বলল কেন্দ্র।
বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের ওপর শনিবার থেকে নিম্নচাপের আকার নিয়ে ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি শুরু করল ঘূর্ণিঝড় যশ। গত বছরের আম্ফানের স্মৃতি তাজা। তাই এবার আরও দ্রুত প্রস্তুতি সারতে চাইছে রাজ্যসরকার।
গত শুক্রবার থেকেই প্রস্তুতিতে গতি আনা হয়েছে। শনিবার দিঘায় পৌঁছে গেল এনডিআরএফ। দুর্যোগ মোকাবিলায় বড় ভরসা এনডিআরএফ জওয়ানরা।
এছাড়া রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা আছেন। উপকূল জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনগুলির তরফ থেকে।
শনিবার যশ মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা সহ করমণ্ডল উপকূলের অন্য রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
যশ বুধবার আছড়ে পড়ার কথা। তার আগেই উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া, করোনা রোগীদের যাতে ঝড়ের জন্য চিকিৎসার কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা রাখা, বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীদের তৈরি রাখার পাশাপাশি শুকনো খাবার, ত্রিপল সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রি তৈরি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে।
রাজ্যসরকারের তরফে ইতিমধ্যেই যশ মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় জেলা প্রশাসনগুলিকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার থেকেই যশের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা